রাঙামাটি থেকে একদিনে ধূপপানি ঝর্না ভ্রমণের বৃত্তান্ত



 Article by  Asif Ahmed
Oct 20, 19 
Original link

রাঙামাটি থেকে একদিনে ধূপপানি ঝর্না ভ্রমণের বৃত্তান্ত। সবাই তো কাপ্তাই হয়ে যায়, আমি একটু ভিন্ন রুটের বর্ননা দিচ্ছি।

Photo:Collected
 ১৪ অক্টোবর। সকাল ছয়টায় আমরা পৌঁছে যাই রাঙামাটির রিজার্ভ বাজার লঞ্চঘাটে। সেখানে প্রায় সোয়া এক ঘন্টা দেরী হয় কারন আমাদের ট্যুরিস্ট বোটে তেল নেওয়া ছিল না। সোয়া সাতটার দিকে আমরা যাত্রা শুরু করি বিলাইছড়ির উদ্দেশ্যে। কথা ছিল দুই ঘন্টায় বিলাইছড়ি পৌঁছাবো৷ বাস্তবে তিন ঘন্টার বেশি লেগে গিয়েছিল। তাই লঞ্চ/ট্রলার ভাড়া করার সময় একটু কথাবার্তা ক্লিয়ার করে নিবেন৷ তারা তেল বাঁচাতে যথেষ্ট ধীরে লঞ্চ চালিয়েছে। যাইহোক, রাঙামাটি থেকে কাপ্তাইয়ের পাশ ঘেঁষে যখন বিলাইছড়ির রুটে প্রবেশ করেছিলাম তখনই মনে হচ্ছিলো যেন স্বর্গের দ্বার খুলে গেছে। বিলাইছড়িটা রাঙামাটি জেলা থেকে একটু বিচ্ছিন্ন বলে এদিকের সৌন্দর্যের রূপটা আগে দেখা হয়নি।

যাইহোক, আমরা সাড়ে দশটায় গিয়ে পৌঁছাই বিলাইছড়ির হসপিটাল ঘাটে। বিলাইছড়ি বাজারে যাওয়ার আগেই বিজিবি আর আর্মির দুটো চেকপোস্ট আছে। ট্যুরিস্ট হিসেবে গেলে অবশ্যই আইডি কার্ডের চারটা ফটোকপি নিতে ভুলবেন না কারন পরে আরও চেকপোস্ট আছে। এনআইডি হলে ভাল, না থাকলে স্টুডেন্ট আইডি হলেও হবে।

বিলাইছড়িতে সুন্দর একটা বাজার আছে। বেশ উপরে উঠতে হয় যদিও৷ ওখানে ট্রেকিং শু, থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট, ফার্মেসি প্রায় সবই আছে৷ ওখানে হালকা নাস্তা করে মাত্র ১০০ টাকা দিয়ে একটা পাকা কলার কাঁদি কিনে আমরা এগারোটার দিকে রওনা দিলাম উলুছড়ির উদ্দেশ্যে৷ আমাদের প্রথম লঞ্চটার সাথে চুক্তি ছিল সে সারাদিন বিলাইছড়ি অপেক্ষা করে আমাদেরকে আবার রাঙামাটি পৌঁছে দিবে সন্ধ্যায়। বিলাইছড়ি থেকে স্থানীয় লঞ্চে (যথেষ্ট গতিশীল এবং লম্বাটে) যেতে হয় উলুছড়ি পর্যন্ত। ফেরার পথে সে ব্যাক করাবে বিলাইছড়ি পর্যন্ত। ভাড়া ১৫০০~২০০০ টাকা। দরদাম করতে হয়। এই বোটটা আমাদেরকে বিলাইছড়ির এক স্থানীয় বন্ধু ঠিক করে দিয়েছিল। এছাড়াও দুইজন স্থানীয় মাঝির নাম্বার আছে, চাইলে এদের সাথেও যোগাযোগ করে যেতে পারেন। (ইউসুফ মাঝি ০১৫৩৯৫৩০০৩৭, সুজন মাঝি ০১৮৬১৭৯২৪৫২)। মনে রাখবেন বিলাইছড়ির দিকে শুধু রবি আর টেলিটকের নেট পাওয়া যায়। তাই সেভাবেই সিম নিয়ে যাবেন।

বিলাইছড়ি থেকে প্রায় সাড়ে বারোটায় গিয়ে পৌঁছাই উলুছড়ি। গাইড নিতে হয় সেখান থেকে। গাইডকে নিয়ে সেখানে বৈঠা নৌকায় উঠতে হয়৷ উলুছড়ির পর একটা সোয়াম্প আছে, যেখানে ইঞ্জিন নৌকা নিয়ে যাওয়া যায় না। এই সোয়াম্পটা অসম্ভব সুন্দর। হঠাৎ দেখলে মনে হবে ছোটোবেলার সেই "লেক প্লাসিড" মুভির সোয়াম্পের মতো। মনে হয় যেন এখুনি হুট করে একটা পাগলাটে কুমির এসে নৌকা উল্টে দিবে! সেখানে বক, পানকৌড়ি থেকে শুরু করে ঈগল পর্যন্ত শত প্রজাতির পাখি দেখা যায়। শুনশান নিস্তব্ধতার মাছে ঈগলের ডাক শুনে শরীর শিউরে উঠতে বাধ্য৷ সোয়াম্পের ঠিক মাঝ বরাবর একটা সরু জায়গায় আছে হাজার হাজার সাদা শাপলা। আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমরা সেখানে পৌঁছেছি দুপুরে। একটা শাপলাও ফুটে ছিল না! ভোরে পৌঁছাতে পারলে হয়তো সাদা শাপলার সৌন্দর্যে আরেকটু বেশি মুগ্ধ হতে পারতাম।

আমাদের সাথে গাইড হিসেবে ছিল উজ্জ্বল তঞ্চংগ্যা। প্রচন্ড একটিভ একজন মানুষ৷ ট্রেকিংয়ে গেলে যত কম ওজনের ব্যাগ ক্যারি করা যায় ততো কম ক্যারি করবেন৷ দরকার হলে বোটে মালামাল রেখে যান, কেউ হাত দিবে না৷ ক্যামেরা-মোবাইল সাবধানে পলিথিনে মুড়ে ক্যারি করবেন৷ গ্রুপে গেলে একটা/দুটো ব্যাগে প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে পালা করে ব্যাগ বহন করবেন যেন একজনের উপর চাপ না যায়। একটা ব্যাগ গাইডকেও দিতে পারেন।

সোয়াম্পটা পার হয়ে আমাদের নৌকা যেখানে থামলো এখান থেকেই মূল ট্রেকিং শুরু। প্রথম বিশ মিনিট প্রায় সমতল দিয়েই ট্রেকিং করতে হয়৷ মাঝে দুইবার পাহাড়ী ছড়া পার হতে হয়। হাঁটু বা কোমর পর্যন্ত ডোবার শুরু এখান থেকেই৷ মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখবেন। আমরা বৃষ্টির দিনে যাওয়ায় প্রচন্ড স্রোত ছিল৷ ছোট্ট একটা ছবির মতো গ্রাম পার হবেন এই সময়টাতে। পাহাড়ী মাচা, জুমক্ষেত আর পাহাড়ীদের সহজ সুন্দর জীবন দেখতে দেখতে রাস্তাটা ফুরোবে৷

তারপর শুরু হবে চড়াই-উৎরাই। প্রথমে শুধু উঠতেই থাকবেন! খাড়া পাহাড়ের গায়ে সিঁড়ির মতো করে কেটে রাখা আছে। তাতেও কোনো লাই হয়নি৷ স্টেপগুলো এতো উঁচু উঁচু যে অল্পতেই হাঁপ ধরে যায়। থাই মাসল আর কাফ মাসলে ক্র্যাম্প হয়ে যেতে পারে যদি পূর্বে ট্রেকিংয়ের অভিজ্ঞতা না থাকে৷ মোটামুটি প্রথম পাহাড় ডিঙ্গিয়েই জিভ বের হয়ে যায়।

এরপর কিছুটা পথ পাহাড়ী রাস্তায় হাঁটতে হয়৷ এর মাঝে মাঝে দুই পাহাড়কে জোড়া লাগাতে কিছু বাঁশের সাঁকো আছে, সেগুলো পার হওয়ার সময় একটু সাবধানে পার হবেন৷ গাইডকে দেখে মনে হবে সে বাতাসে ভেসে পার হচ্ছে৷ কারন তার জন্ম থেকে বেড়ে ওঠা সবই ওখানে। গাইডের মতো করে পার হতে গেলে বিপদে পড়তে পারেন৷ সাঁকোগুলোগুলো দেখতে অনেকটা "টেম্পল রানের" মতো। পাহাড় আর জঙ্গলের ভেতর সাঁকো পার হওয়ার সময় জংলী লতা এসে ঘাড় ছুঁয়ে যাবে। তখন একটু দেখেশুনে পার হবেন। কারন পাহাড়ভর্তি "গ্রীন ভাইন স্নেক" বা সবুজ লতা সাপ৷ এর বেশিরভাগই নির্বিষ হলেও কিছু জাত বিষাক্ত।

পাহাড় বাইতে শুরু করার পর প্রায় দেড় ঘন্টা লাগে ধূপপানি গ্রামে পৌঁছাতে। একের পর এক পাহাড় উঠবেন। একদম টপে আছে মানুষের সমান উঁচু ঘাসের বন। এর ভেতর দিয়েই পৌঁছে যাবেন গ্রামে। গ্রামটা পাহাড়ের উপর কিছুটা সমতলে অবস্থিত। ওখানে পাহাড়ী বাড়িঘরে দেখবেন নানা জাতের ফলের গাছ আর শূকর-ছাগলের পাল। মাচার মতো একটা দোকান আছে। চিপস-কেক-কোক থেকে শুরু করে প্রায় সবই পাবেন। এখানে বেশি খেয়ে পেট ভর্তি করবেন না। একটু জিরিয়ে মূল গন্তব্যের দিকে রওনা দিবেন। যদি ভারী কিছু থাকে, চাইলে এখানে রেখে যেতে পারেন।

এরপর বাকি পথটা শুধু নামার গল্প। নামতেই থাকবেন, নামতেই থাকবেন। যখন মনে হবে এই বুঝি নামা শেষ হলো, তখনই শুনবেন দানব ঝর্নার গর্জন!! কিন্তু ঝর্না তখনও দেখা যাবে না। কিছুদূর হেঁটে একটা সাইনবোর্ড দেখবেন। যেখানে বলা আছে "ধূপপানি কোনো পর্যটন এলাকা না। এটা একজন ভান্তের তীর্থস্থান।" ওখানে ঘুরতে গেলে সেভাবেই বিহেইভ করুন। পিকনিকের মতো নাচ গান করবেন না।

এরপরই একটু সামনে আগায়ে থমকে যাবেন! এতক্ষণ যতোটা খাড়া পথ বেয়ে নিচে নামছিলেন, সামনে দেখবেন তার দ্বিগুণ খাড়া পথে সিঁড়ি করা আছে!! এই জায়গাটায় অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করে নামবেন। হঠাৎ পড়ে গেলেই বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটবে।

আমরা যখন এদিকে নামছিলাম তখন দুইজন পাহাড়ী ছেলে ওটা বেয়ে উঠছিলো। তাদেরকে হাঁপাতে দেখেই মন খারাপ হয়ে গিয়েছিলো! ওনাদের যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে আমাদের কি অবস্থা হবে!!
যাইহোক, ওটা নেমে আর অল্প কিছুদূর গিয়েই বামে একটা বাঁক আছে, বাঁকটার মাথায় আবার বড় একটা পাথর আছে। মানে সৃষ্টিকর্তা যেন সুন্দর করে গুছিয়ে এতোটা নাটকীয়তা সাজিয়ে রেখেছেন। পাথরের ওপাশেই ঝর্না, কিন্তু পাথরের জন্য দেখা যায় না বাঁকের এপার থেকে। পাথরটাকে পাশ কাটিয়ে সামনে গিয়েই দেখা মিললো সেই অপরূপ সৌন্দর্যের। প্রায় দুই-আড়াই ঘন্টার ট্রেকিংয়ের কষ্ট ফুরুৎ করে উড়ে গেলো। প্রায় মিনিটখানেক শুধু হাঁ করেই তাকিয়ে ছিলাম ধূপপানির ঝর্নার দিকে। যদিও জুন-জুলাইয়ের মতো পানির দেখা পাইনি, তাও যা দেখেছি তাতেই মনে হচ্ছিলো এটাই স্বর্গ।
ধূপপানি ঝর্নার সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য হলো এর ভেতরের গুহাটা। শুধুমাত্র গুহার ভেতরে ঢুকে একটা ছবি বা ভিডিও করার ইচ্ছা থেকেই এই সময়ে ধূপপানি যাওয়া। ভিডিও করে আসার পর শুনলাম গুহার শেষ মাথাতেই নাকি একটা সাপ আছে!! যে কারনে কেউ পুরো গুহা নিয়ে ছবি তুলতে পারে না। ব্যাপারটা আমার জানা ছিল না বলে আমি একদম শুয়ে শুয়ে গুহার শেষ মাথাতেই ক্যামেরা সেট করে ভিডিও করে এসেছি!! কোনো সাপ থাকবে এটা কল্পনাও করিনি, সাপ দেখিও নাই! এখন ইনফোটা জানার পর থেকে গা শিরশির করছে!!

প্রায় চল্লিশ মিনিট দাপাদাপি করে আমরা ফিরতি পথ ধরলাম। সময় ফুরিয়ে আসছিলো বলে বেশিক্ষণ থাকতে পারিনি। অলরেডি বাজে সোয়া তিনটা। এর ভেতর প্রকৃতিও রুদ্রমূর্তি ধারন করেছিল। ট্রেকিংয়ের সময়টাতে ছিল এক্সট্রিম গরম। এতোই গরম যে সান বার্ন হয়ে এক একজনের অবস্থা খুব কাহিল। সময়টাও ছিল একদম খাড়া দুপুর! আর ফিরতি পথে এতোই বৃষ্টি আর বজ্রপাত যে মনে হচ্ছিলো পাশের পাহাড়েই বাজ পড়ছে!

এর ভেতর দিয়েই ফিরতি পথে চলে এলাম সোয়াম্পের শেষ মাথায়। পথিমধ্যে পথ এতোটাই পিচ্ছিল হয়ে গিয়েছিলো, এক পা আগালে দুই পা পিছলিয়ে যাচ্ছিলাম আমরা। সব আলগা মাটিগুলো কাদা হয়ে খুব বাজে অবস্থা করে ফেলেছিলো।

যাইহোক, আল্লাহর অশেষ রহমতে তেমন কোনো দুর্ঘটনা ছাড়াই আমরা চলে এলাম উলুছড়ি। আটজনের টীমের চারজনই পিছলিয়ে পড়েছিলো বিভিন্ন জায়গায়, আর একজনকে ধরেছিল জোঁকে। এমনিতে খুব বেশি জোঁক নাই ধূপপানিতে। তাও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে ঘুরতে যাবেন। সাথে স্যালাইন রাখবেন।

উলুছড়ি থেকে বিলাইছড়ি আসতে আসতে বেজে গিয়েছিলো প্রায় সাতটা। পথিমধ্যে দুটো আর্মি চেকপোস্ট পড়ে। সাথে কোনো ডিফেন্স অফিসার না থাকলে অবশ্যই বিকেল পাঁচটার আগে বিলাইছড়ির আর্মি ক্যাম্প পার হবেন, নাহলে রাত কাটিয়ে যেতে হবে বিলাইছড়িতেই৷
সাতটায় বিলাইছড়ি ঘাটের "ভাতঘর" রেস্তোরাঁয় ভাত খেতে বসলাম। সারাদিনে এটাই প্রথম বড় কোনো খাওয়া। সাদা ভাত, ডাল, আলু ভর্তা আর দেশী মুরগীর তরকারি যে এতো অমৃতের মতো লাগতে পারে তা আগে জানা ছিল না। ট্রেকিংয়ের কারনে অবশ্যই একটা ইফেক্ট পড়েছে, এমনিতেও তাদের খাবার খুবই ফ্রেশ এবং সুস্বাদু।

এরপর সাড়ে সাতটায় আমরা রওনা দিলাম রাঙামাটির উদ্দেশ্যে। পথের আর্মি আর বিজিবি চেকপোস্ট পার হয়ে মূল কাপ্তাই লেকে উঠলাম। সেদিন ছিল প্রবারণা পূর্নিমার পরের রাত। আকাশ ভরা থালার মতো চাঁদ আর হাজার হাজার তারায় পুরো লেক আলোকিত হয়ে ছিল। আর দূর পাহাড় থেকে একের পর এক আকাশে উঠছিলো শত শত ফানুস। দূরের নীলচে তারাগুলো যেন লালচে হয়ে ধরায় নেমে আসছিলো।

পূর্নিমার রাতে সাতজন মানব সন্তান কাপ্তাই লেকের বুকে ভাসতে ভাসতে আর গান গাইতে গাইতে রাত সাড়ে দশটায় পৌঁছে গেলাম রাঙামাটিতে। শেষ হলো আমাদের ধূপপানি ঝর্না অভিযান। দিনটা ফুরিয়ে গেছে, অসংখ্য মোমেন্টের ছবি তোলা হয়নি, কিন্তু স্মৃতিতে রয়ে গেছে শত শত গল্প। গল্পগুলো তোলা থাকুক। বেঁচে থাকলে শোনাবো নাতিপুতিকে।।

বিদ্রঃ যেখানে ঘুরতে যাবেন অবশ্যই অপচনশীল দ্রব্য ফেলবেন না। ধূপপানি ঝর্নার ঠিক আগে আগে কয়েক প্যাকেট বিরিয়ানি পড়ে থাকতে দেখেছি৷ প্রকৃতিকে এভাবে নষ্ট করবেন না। চিপসের প্যাকেট, পানির বোতল সাথে করে নিয়ে আসুন। দেশটা নিজের, নিজেই সুন্দর রাখুন।

খরচের ব্যাপারটার ব্রেকডাউন দিচ্ছিঃ

রাঙ্গামাটি-বিলাইছড়ি-রাঙ্গামাটি টুরিস্ট বোট ভাড়া - ২৫০০ টাকা।
বিলাইছড়ি-উলুছড়ি-বিলাইছড়ি বোট ভাড়া - ১৮০০ টাকা।
উলুছড়ি সোয়াম্পের বইঠা নৌকা ২টা - ৬০০ টাকা
গাইড - ৫০০ টাকা।
লাঞ্চ/ডিনার - ৭০০টাকা
পথে খাওয়ার জন্য কেক, কলা, স্ন্যাক্স এসব যে যার মত করে খরচ করেছি। হিসেব করা হয়নি।
গ্রুপ করে গেলে খুব বেশি একটা খরচ হয়না।
#দেশেই_ঘুরি, দেশেই ঘুরুন।।

0 Response to "রাঙামাটি থেকে একদিনে ধূপপানি ঝর্না ভ্রমণের বৃত্তান্ত"

Post a Comment