খুলনার ঐতিহ্যবাহী আসল চুই ঝাল মাংস


খুলনা,বাগেরহাট ও সাতক্ষীরায় এই চুইলতা জন্মে। যশোর ও খুলনায় আত্মীয় স্বজন বেড়াতে এলে চুইয়ের ডাল দিয়ে রান্না করা মাংস থাকে খাদ্যতালিকায় প্রথম। চুইলতার আছে ভেষজগুন। এই লতার শিকড়, কান্ড,পাতা,ফুল-ফল সবই ভেষজগুণ সম্পন্ন। গ্যাস নিবারণ,রুচি বাড়াতে, ক্ষুধামন্দা দুর করতে এইটি বেশ কার্যকর ।

খাসি ও গরুর চুইঝাল মাংস

ইদানিং ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চুইঝালের রেস্টুরেন্ট গড়ে উঠেছে। এই সব রেস্টুরেন্টে খাসি ও গরুর মাংসের চুইঝাল পাওয়া যায়। পাঠক, আজকে আপনাদেরকে পরিচয় করে দিব, মিরপুরের একটি চুইঝাল রেস্টুরেন্টের সাথে। সনি সিনেমা হল থেকে যে রাস্তাটি চিড়িয়াখানার দিকে গেছে, সে রাস্তার পশ্চিম পাশে খুলনা হোটেল । হোটেলের সামনে বিলর্বোডে লেখা,‘ এখানে খুলনার এতিহ্যবাহী চুকনগরের বাবুর্চি দ্বারা চুইঝালের খাসির গোস্ত ও গরুর গোস্ত ভূনা ঘরোয়া পরিবেশে পরিবেশন করা হয়’। দুপুর দেড়’টা। হোটেলে ঢুকলাম। হোটেলের ভিতরটা বেশ পরিষ্কার। এ মুহুর্তে কাস্টমার কম। একটা শ্লেফে উপরের দিকে তোরো প্রকারের ভর্তা রাখা। নিচের তাকের দিকে একপাশে ডিমের তরকারী ও মুরগীর তরকারী রাখা। কিন্তুু চুইঝালের কোন ডিশ্ নাই। প্রায় যখন হতাশ, তখন হোটেলের ম্যানেজার এগিয়ে এলো। চুইঝালের পাতিল এখনো চুলায়। প্রায় নামানোর সময় হয়ে এলো। কিছুক্ষণ পওে চুই ঝাল দিয়ে রান্না গরুর ও খাসির ভূনা ভর্তি ডিশ এনে আমার সামনে রাখলো, তখন আমার আমুদ দেখে কে! ভূনা মাংস থেকে ধোঁয়া উঠছে। আস্ত রসূণ দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকটি চুইয়ের ডাল রয়েছে। দেখেই জিভেতে পানি আসে। কিভাবে বিক্রি করেন?-জিজ্ঞেস করলাম। প্রতি পিস ১৩০ টাকা। পার্সেল অর্ডার দিলাম। লোভ সামলাতে না পেরে হোটেলে বসেই এক পিছ মুখে চালান করে দিলাম। আলাদা একটা স্বাদ । মরিচের মতোই ঝাল। ঝাল বেশীক্ষণ থাকে না। এই চুইঝালের মাংস ভূনা না খেলে আসলেই আফসোস । তাই যারা খাদ্যরসিক ও ভোজনবিলাসী তারা মিরপুরে এলে একবার ঢু মারতে পারেন নিচের ঠিকানায়:


প্লট নং-৪, বীর বিক্রম হেমায়েত উদ্দিন সড়ক,(চিড়িয়াখানা রোড়),রাইনখোলা,মিরপুর-১,ঢাকা-১২১৬।